বাংলাধারা প্রতিবেদক»
মো. মামুনুর রশিদ (২০)। পেশায় তিনি সারাদিনের মাদরাসার একজন শিক্ষক। সেই মাদরাসায় পড়ে অন্তত দেড়শ ছাত্র-ছাত্রী। এদের মধ্যে ৭ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে দুপুরে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, কাউকে বলতে নিষেধ করে ওই শিশুকে ভয়-ভীতিও দেখান ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করেছে ইপিজেড থানা পুলিশ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় ইপিজেড থানার কাজির গলি চৌরাস্তা মোড়ে দারুল ইহসান মাদরাসার নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে বলে বাংলাধারাকে নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম।
আটক মো. মামুনুর রশিদ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমা নগরের বাসিন্দা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর যাবৎ দারুল ইহসান মাদরাসায় পড়ালেখা করছে ভুক্তভোগী ওই শিশু। তার মা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় তাকে মাদরাসায় দিয়ে আসে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সেখান থেকে তাকে বাসায় নিয়ে আসে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মাদরাসাতেই ঘুমায়।
গতকাল (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঘুম থেকে তাকে ডেকে তুলে মাদরাসার নিচলার একটি রুমে নিয়ে যায় অভিযুক্ত মামুনুর। এরপর ওই শিশুকে উলঙ্গ করে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং মেঝেতে শুইয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই শিশু কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে ছেড়ে দেন মামুনুর। এসময় এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি দেখায়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রাসেল বলেন, ‘প্রতিদিনের মত আমার মেয়েকে ওর মা আনতে মাদরাসায় যায়। বাসায় আসার পর হঠাৎ আমার মেয়ে আমার স্ত্রীকে বলে ওই মাদরাসায় আর সে যাবেনা এবং তাকে যেন অন্য মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়। তাই কান্নাকাটি করতে থাকে। সে অন্য মাদরাসায় পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘ওই মাদরাসায় না পড়ার কারণ জানতে চাইলে আমার মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর আমার স্ত্রী বাসায় যাওয়ার পর আমাকে সব ঘটনা খুলে বললে আমি থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি।’
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বাংলাধারাকে বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষকের দ্বারা ৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এজাহার দায়ের করেন। মামুনুর রশিদ নামে ওই মাদরাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।’
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাধারা/আরএইচআর













