২৯ অক্টোবর ২০২৫

সংবর্ধিত হলেন তরফদার রুহুল আমিন

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

ভারতে আন্তর্জাতিক মাদারতেরসা পদকে ভূষিত সংবর্ধিত হয়েছেন ক্রীড়া সংগঠন ও সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকায় তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এসময় তিনি বলেন এটা শুধু বাবার সাফল্য নয়; এটা পুরো ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য। ওনার ছেলে হিসেবে অবশ্যই গর্ববোধ করি। আমি তরফদার মো. রুহুল আমিন সাহেবের ছেলে এটা অনেক গর্বের।
আমার বাবা অনেকদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছেন। সাথে সাথে আমিও কাজ শুরু করেছি। আমি অবশ্যই আমার বাবার পথ অনুসরণ করব। বাবা মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন; আমিও চেষ্টা করব আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে এভাবে যেন সাফল্য আনতে পারি।

এসময় ক্রীড়া সংগঠক এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন দেখে সত্যিই আমি অভিভূত, আনন্দিত। এতটাই আনন্দিত যে ভাষায় প্রকাশের নয়। আপনাদের উপস্থিতি দেখে আমি বাকরুদ্ধ। একটাই কথা বলতে চাই, আজকে ক্রীড়াঙ্গন কিন্তু এক জায়গাতে এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গন সব সময়ই এক জায়গাতেই ছিল। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন সেক্টরে যারা কাজ করছেন; দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে যাচ্ছেন—সকলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।’

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আজকের যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমাকে যে মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে আসলে এই অ্যাওয়ার্ড আমার একার না। আপনাদের সকলের, বাঙালি জাতির অ্যাওয়ার্ড এটা। আমি শুধু এটা ভারত থেকে বহন করে নিয়ে এসেছি মাত্র। বাঙালি জাতি এটার জন্য গর্বিত। আপনারা যারা ক্রীড়ার সঙ্গে আছেন এবং আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি- এটা আপনাদের সকলের প্রাপ্য। এখানে যারা মিডিয়ার ভাই-বোনেরা আছেন তারাও এটার দাবিদার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গমাতাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের। আমি আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি যুব সমাজকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করেছেন; আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার জাতির পিতার সুযোগ্য পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের দেখানো পথ ধরেই আজ বাংলাদেশের ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি এগিয়ে চলেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যে সম্মান পেয়েছি এটা আমার একার নয়। এটা সারা বাংলাদেশের সম্মান (কান্না জাড়ানো কণ্ঠে বলেন)।’

তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি যে সম্মাননা পেয়েছি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার এটা আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার, স্বাধীনতা পরবর্তী যুবসমাজকে যিনি সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের কালরাতে যিনি ঘাতকের বুলেটে শাহাদাত বরণ করেছেন সেই ক্রীড়া সংগঠক ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি। ওনার নামে এটা আমি দিয়ে যাচ্ছি। যেদিন আমি এই পুরস্কার পেয়েছি সেদিনই আমার মনের মধ্যে এটা ছিল যে পুরস্কারটি ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে উৎসর্গ করব। আমাদের দেশ যদি স্বাধীন না হতো; শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের মতো সংগঠক যদি না থাকতেন তাহলে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন কিছুতেই এগুতে পারত না।’

এ ক্রীড়া সংগঠক বলেন, ‘আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি। আবারো বলছি এটা আমার একার সম্মান নয়। এটা জাতীয় সম্মান। জাতির সম্মান। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সকলে একত্রে কাজ করে যাব।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরাম সভাপতি আসাদুজ্জামান কোহিনূর, বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন এবং সাধারণ সম্পাদক জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজিব উদ্দীন আহমেদ চপল,বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লাহ এম বি সাইফ, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, বাশাআপ সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, সৈয়দ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এর মহাসচিব শাহেদ রেজা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডে পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ।

আরও পড়ুন